তাড়াহুড়োয় রান্না করতে গিয়ে হাতে ছ্যাঁকা লাগার ঘটনা হামেশাই ঘটে। কখনো হয়তো অন্যমনস্ক হয়ে চা পাতা দিতে গিয়ে গরম পানি হাত চুবিয়ে ফেলেছেন। রোজের জীবনে আকছাডর এমন ঘটেই থাকে। তবে সব সময়ে হালকা ভাবে নিলেও চলে না। অনেক ক্ষেত্রে সেই সামান্য পোড়া থেকেই গভীর ক্ষত তৈরি হয়ে যেতে পারে। তাই আগে থেকে সাবধান হওয়া জরুরি।
চিকিৎসকের পরামর্শ শুনে পোড়ার ক্ষত নিরাময় করে এমন একটি মলম বাড়িতে রেখে দিলে ভালো। দরকারে কাজে আসবে। ধরুন এক দিন দেখলেন যে সেই মলমটি ফুরিয়ে গিয়েছে। এ দিকে জ্বালাও করছে। ওষুধ নেই বলে তো আর ক্ষত জিইয়ে রাখা যায় না। সে ক্ষেত্রে কী করবেন? অনেকে হয়তো জানেন না হেঁশেলের কয়েকটি উপকরণও ক্ষত সারাতে সক্ষম। সেগুলো কী, তা জেনে নেয়া জরুরি-
মধু:অ্যান্টিসেপ্টিক গুণ সমৃদ্ধ মধু পোড়ার ক্ষত নিমেষে সারাতে অসাধারণ কাজ করবে। হাতে বা শরীরের যে অংশ পুড়েছে সঙ্গে সঙ্গে মধু লাগান। মধু জ্বালা কমিয়ে দেবে। পোড়ার দাগও থাকবে না।
অ্যালোভেরা:বাড়িতে অ্যালোভেরা গাছ থাকা মানে অনেক ক্ষেত্রে নিশ্চিন্ত। ত্বকের যত্ন থেকে পোড়ার ক্ষত সামলানো- অ্যালোভেরার একই অঙ্গে বহুগুণ। হঠাৎ হাত পুড়ে গেলে পোড়া অংশ সঙ্গে সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল লাগান। জ্বালা কমে যেমন ঠাণ্ডা অনুভূতি দেবে। তেমনই ক্ষত সারাবেও দ্রুত।
ভিনিগার:অনেকের হেঁশেলেই ভিনিগার থাকে। পুড়ে গেলে দ্রুত ক্ষত সারাতে কাজে আসতে পারে এটিও। তবে পোড়া অংশে ভিনিগার লাগানোর আগে পানিতে মিশিয়ে পাতলা করে নিন। মিশ্রণটিতে পাতলা কাপড় ভিজিয়ে পোড়া জায়গায় লাগিয়ে রাখুন। স্বস্তি পাবেন। ব্যথা ও জ্বালা কমবে দ্রুত।